ভবনটি দুই ভাগে বিভক্ত যার একপাশে রয়েছে শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ড এবং অন্য
পাশে পুরুষ ওয়ার্ড। বর্তমানে শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডটি
সম্পূর্ণভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। ভবণের মেঝের ফ্লোরে ধরেছে
ফাটল এবং সামান্য বৃষ্টি হলেই উপরের ছাদের দেয়াল ঘেঁষে পানি পরে ফ্লোর
ভিজে স্যাঁত স্যাঁতে হয়ে যায়।
যার কারণে উক্ত ওয়ার্ডটিতে রোগীদেরকে কোনভাবেই চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
হাসপাতালে আসা শিশু ও প্রসূতি রোগীরা প্রতিটি মুহূর্তই
অনেকটা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রোগীরা প্রতিটি
মুহূর্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ভবণটির অবস্থা
অনেকটাই নাজুক হয়ে পরেছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে বলে মনে
হয়।
উক্ত ভবণের নিচ তলায় রয়েছে হাসপাতালের একাউন্টস কক্ষ, অফিস
সহকারীর কক্ষ ও ইপিআই কক্ষ। এতে করে দেখা যায় চিকিৎসক, নার্স ও
রোগীসহ অন্যান্যদের জীবন এখন অনেকটা হুমকির মুখে। অতি সত্বর
ভবণটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের
দূর্ঘটনা।
ভবণটি নির্মানের পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও মেরামত করা
হয়নি। তাই পূরাতন ভবণটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন
ভবণ তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন রোগীসহ
এলাকাবাসীরা।
এবিষয়ে হাসপাতালের সেবিকা সোনেকা রানী বলেন,
রোগীদের করোনাকালীন সময় থেকে জীবন বাঁজি রেখে এখন পর্যন্ত
সেবা দিয়ে যাচ্ছি কিন্ত শিশু ওয়ার্ডটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আমরা
রোগীদেরকে সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শিশু ও
প্রসূতি ওয়ার্ডটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা আপতত উক্ত
ওয়ার্ডটিতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি না। তিনি আরও
বলেন, যেহেতু আমার হাসপাতাল ৫০ শয্যার কিন্ত আমার এখানে রোগী
থাকে ১০০-১৫০ জনের মত। রোগীর তুলনায় আমার বেডের সংখ্যাও অনেক
কম। রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা এ দুই উপজেলার মানুষেরই চিকিৎসা সেবা
নিতে হয় এই হাসপাতাল থেকে। শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ
হওয়ার খবরটি আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তাদের
সিদ্ধান্ত পেলে ভবণটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হবে এবং নতুন ভবণ তৈরি
করতে হবে।
এ বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশীষ কুমার
বলেন, বিষয়টি আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অতি
দ্রুত নতুন ভবণ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।