নাটোরের বড়াইগ্রামের গুণাইহাটি মহল্লায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শেফালী রাণী (৫৫) ও কুমারী স্মৃতি রাণী (১২) নামে দুই জনের শরীরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত শেফালী রাণী গুণাইহাটি মহল্লার মৃত অশ্বীনি দাসের স্ত্রী ও স্মৃতি রাণী তাপস চন্দ্র দাসের মেয়ে। তারা দু’জন সম্পর্কে দাদী-নাতনী। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- গুনাইহাটি মহল্লার মৃত খোকা দাসের ছেলে অনিল কুমার (৩৫) ও জফির উদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলী (২৩)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে স্মৃতির ফুফুকে উত্যক্ত করায় অনীল কুমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সম্প্রতি সেই মামলায় জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে অনীল তাদেরকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছিল। গত সোমবার রাতে দাদী নাতনী ঘরের ভেতরে এক চৌকিতে আর ফুফু আলাদা চৌকিতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে কে বা কারা ঘরে তীরের পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়ে সিরিজ দিয়ে এসিড পুশ করে।
এতে দাদী ও নাতনীর শরীরে পা, পিঠসহ শরীরের কিছু অংশ বিছানার চাদর শাড়ি কাপড় সহ পুড়ে যায়। এ সময় তীব্র যন্ত্রনায় তারা চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্মৃতির ফুফুকে উদ্দেশ্য করে অনীল ও তার সহযোগীরাই এ এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে দাবী তাদের।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অনিল কুমার বলেন, যাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে আমি জেলে গিয়েছিলাম সে সম্পর্কে আমার ভাতিজী হয়। জেল থেকে এসে আমি তার সাথে আর কথা বলিনা। এ ঘটনায় আমার কোন সম্পর্ক নেই।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থলে শুক্রবার এসে স্মৃতি ও তার দাদীর সাথে দেখা করে আলাদাভাবে কথা বলেন ও খুব দ্রুতই অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।