নিজের মিষ্টির দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া মোটরসাইকেলচাপায় প্রাণ যায় ব্যবসায়ীর। আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই দুর্ঘটনা আপস হলো ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আতারামপুর গ্রামে। অতঃপর নিহত ব্যবসায়ীর লাশ দাহ করা হয়। এর আগে পুলিশের সঙ্গে থানায় এসে ‘বাবা নিহতের বিচার চাই না’ মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন ছেলে।
থানায় অবস্থান করা ছেলে সালিসে রফার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি জানি না কত টাকায় রফা হয়েছে। তবে তারা খুশি হয়ে যা দেয়, তাই হবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
স্থানীয় সুত্র জানায়, নিহত ব্যক্তি হচ্ছেন ওই গ্রামের সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস (৭০)। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর বাজারে তাঁর একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে।
নিহতের ছেলে রিপন চন্দ্র বিশ্বাস ওরফে তারা জানান, প্রতিদিনের মতো দোকানে কাজ সেরে গত শুক্রবার সন্ধার পর অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর বাবা। পথে বাগানবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিল এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফির বিদেশফেরত ছেলে রায়হান মিয়া (২৫)।
এ সময় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা উল্টে পাকা সড়কেই ছিটকে পড়েন বৃদ্ধ সুশীল। গুরুতর আহত সুশীলকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে এনে চিকিৎসার পরিকল্পনা করে। শনিবার সকাল ৯টায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুটি নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নান্দাইল থানা পুলিশ। কিন্তু এলাকার এক সালিসে ঘটনাটি নিয়ে রফা হয়ে গেলে পুলিশ থানায় চলে এলেও সাথে নিয়ে আসে নিহতের ছেলেকে। পরে তাঁর কাছ থেকেই বাবার মৃত্যু নিয়ে কারো কোনো আপত্তি নেই মর্মে মুচলেকা আদায় করে পুলিশ।
সালিসে সভাপতিত্ব করা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, এটা নিয়ে কিছু করার দরকার নেই। ফয়সালা করে দিয়েছি। কত টাকা রফা হলো জানতে চাইলে তিনি টাকার অঙ্ক না বললেও সালিসে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির ২ লাখ ৮০ টাকার কথা স্বীকার করেন।
আর এই টাকা আগামী শনিবারের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসেম জানান, যেহেতু নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই, তাই আমাদের কিছু করণীয় নেই। এ অবস্থায় বিনা ময়নাত