নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামী পরিত্যক্তা এক তরুণীকে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিকসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার উপজেলার বাহিমালি বলিদাঘাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে নির্যাতিত তরুণী আত্মগোপনে রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে ঐ তরুণীর বাবাও থানায় মামলা করতে যেতে পারছেন না। তবে সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে তিনি অভিযুক্ত তিন যুবকের বিচার দাবী করেছেন।
এঘটনায় অভিযুক্তরা হলো-প্রেমিক উপজেলার বাগডোব গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে সুজন আলী (২৮), বাহিমালি বলিদাঘাটি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে রবিউল করিম (২৮) এবং সুজনের বাগডোব গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মহিদুল (২৮) ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগডোব এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীর সঙ্গে আদগ্রামের সুজন আলীর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বুধবার দুপুরে সুজন ও তার বন্ধু বেড়াতে যাবার কথা বলে ঐ তরুণীকে নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় বাহিমালি বলিদাঘাটির রবিউল করিমের বাড়িতে যায়।
এসময় সুজনের বন্ধু মহিদুলও তাদের সঙ্গে যায়। পরে রবিউলের বাড়িতে নিয়ে তারা তিনজন মিলে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুল অভিযুক্ত রবিউলের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন কিন্তু এসময় রবিউল পলাতক ছিল বলে জানা যায়।
এদিকে, পাঁচজন কথিত সাংবাদিক ঐ তরুণীর সঙ্গে সমঝোতা করিয়ে দেয়ার জন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযুক্ত রবিউলের স্বজনরা স্বীকার করেছেন।
এছাড়াও কথিত সাংবাদিকরা ঐ তরুনীকে সাংবাদিক বানাবে আশ^াস দিয়ে মামলা করতে নিরুৎসাহীত করেছেন বলে মেয়ের বাবা স্বীকার করেছেন। এ প্রতিবেদকের কাছে সংশ্লিষ্ট সকল স্বীকারোক্তির অডিও ও ভিডিও সংরক্ষিত আছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।