হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের মেরাশানি গ্রামের মনতলা ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ইয়াছমিন (১৪) এর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে ইয়াছমিনের মা আয়েশা বেগমের অভিযোগ ইয়াছমিনকে হত্যা করা হয়েছে।
ইয়াছমিনের মা আয়েশা বেগমের অভিযোগ গত শুক্রবার ৫টার দিকে তার ৩ বান্ধবী মনতলা ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী সাদিয়া, সুমাইয়া বেগম ও সুমাইয়া আক্তার তার মেয়ে ইয়াছমিনকে বেড়ানোর কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় কিন্তু পরদিন সকাল ৭টার দিকে তার বাড়ির সামনে মেরাশানি এলাকায় একটি সিএনজি থেকে ইয়াছমিনকে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই সময় একই এলাকার নজরপুর গ্রামের অনু মিয়া নামে এক ফেরিওয়ালা ঘটনা দেখে চিৎকার শুরু করে পরে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াছমিন ৩ বান্ধবীর সঙ্গে গিয়ে রাতে পূর্ব মেরাশানি গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার মেয়ে সুমাইয়ার বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন বান্ধবী সুমাইয়া বলেন রাতে থেকে সকালে নাস্তা করে সুমাইয়া তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তারপর কি ঘটনা ঘটেছে তাদের জানা নেই।
অপর বান্ধবী সাদিয়া জানান নিহত ইয়াছমিন তাদের সঙ্গে আসার পর তার বান্ধবী সুমাইয়ার বাড়িতে রেখে সে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তারা কিছুই জানে না। ইয়াছমিনের মা আয়েশা বেগম এর অভিযোগ তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে তিনি সরকারের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ইয়াছমিনের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও শামীমা আক্তার জানান মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান হাসপাতালে দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যু লেখা হয়েছে ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে।
ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এটি হত্যা কি না নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্ত চলছে। সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন ও পরিদর্শক তদন্ত গোলাম দস্তগীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।