নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হারিছ মিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করায় চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

১৭ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণায় গত ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ করার দিন ধার্য্য থাকলেও কোভিড মহামারীর কারণে গত ২৬ মার্চ ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পূণরায় ১০ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ ধার্য করা হয়।

এরইমধ্যে প্রচার প্রচারণার সময় শেষে করিমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখাযায় প্রচার প্রচারণা ও জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন আওয়ামীলীগ এর নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মমিনুর রহমান আপেল।

এই উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমিনুর রহমান আপেল, বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করছেন সাবেক ছাত্রনেতা ইবনে আদেল শশী, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতিক নিয়ে।

নরসিংদীর চরাঞ্চলের করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ক্যাম্প ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটলেও ভোটারদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকা প্রতিক।

সরেজমিনে জোনায়েত আমীন, মামুন, জজ মিয়া, জাহাঙ্গীর, নূরুল ইসলাম, জিয়াউলসহ আরো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে মোঃ মমিনুর রহমান আপেলকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ঘোষনা করে। প্রতিক বরাদ্দের পরহতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে গিয়েছেন তিনি। তাঁর পিতা একজন মানব দরদী ও দানবীর হিসেবে পরিচিত এবং গরীব দুঃখী, অসহায় ও সাধারন মানুষের আস্থাভাজন। মমিনুর রহমান আপেল তাঁর সন্তান হিসেবে এবং পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান এর ভাতিজা হিসেবে তিনিও সাধারন মানুষের আস্থা কুঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। যার বদৌলতে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন এমনটাই আশাকরেন তারা।

মমিনুর রহমান আপেল জানান, আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সকল আওয়ামী নেতাকর্মী ও সাধারন জনগণের নিকট আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশারাখি আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

এছাড়াও প্রচার প্রচারণায় আমাকে সাধারন মানুষ, নেতা- নেত্রীরা যে ভালোবাসা ও আশ্বাস দিয়েছেন তা ১০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। আমি শতভাগ আশাবাদী জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। আমি ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত সমাজ নির্মান করতে চাই। চাই আমার চাচা মরহুম হারিছ মিয়া চেয়ারম্যানের আদর্শকে বুকে লালন করে কাজ করতে। আমাকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন। নৌকা মার্কায় ভোট চাই ও দোয়া চাই করিমপুরবাসীর।

আমার স্বপ্ন আমি নির্বাচিত হতে পারলে করিমপুর থেকে মাদক, সন্ত্রাস, টেঁটাযুদ্ধ ও চাঁদাবাজ মুক্ত করব ইনশাল্লাহ এবং ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো করিমপুরকে। আমি আমার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই সকলের হৃদয়ে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সত্য প্রকাশে স্বাধীন