বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ সময়ে ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান ঘোষণা করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীণ সময়ে যারা সন্ধ্যা ও এর শাখা নদীতে ইলিশ শিকারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন একটি ‘ডিমওয়ালা’ মা ইলিশ লাখো ইলিশের জন্ম দেয়। দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের পরেও ইলিশ বিদেশে রপ্তানী করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকি।গত কয়েক বছর ধরে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ নিধন বন্ধ থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ইলিশের উৎপাদন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ অর্জন ধরে রাখতে সবাইকে লোভের উর্ধ্বে ওঠে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। এ ব্যপারে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান নিষেধাজ্ঞা চলাকালীণ সময়ে নদীতে শুধু ইলিশই নয় সকল প্রকার মাছ শিকার, বিক্রয়-ক্রয়, বহন ও মজুদও নিষিদ্ধ। এর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত প্রজননক্ষম সময়ে ইলিশ শিকার বন্ধে জেলে ও স্থানীয়দের সচেতন করার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে উপজেলার চাখার,সদর ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়নে পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম প্রধান অতিথি ছিলেন।