মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, এই সরকার আবারো প্রমান করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ি এখানে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয় মার্কায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। এতে সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয়। এতে একটা জিনিস প্রমানিত হয়েছে দলীয় সরকারের আওতায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি ঢাকা অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোট সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন,ইলেকশন কমিশনের হিসাব মতে সেখানে শতকরা ১০ ভাগ ভোট পড়েছে। সেখানে যে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয়েছে সেটিও বিশ^াস যোগ্য নয়। তারপরেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটের ফলাফলে সস্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন।
এটা একটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। সে কারনে আমরা বলতে চাই নির্বাচন কালীন সরকার যদি পরিবর্তন না হয়,নির্বাচন কমিশন যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন,২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে এবং ভোটের দিন দেখা গেছে,সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ভোটে কেউ ভো দিতে যায়নি। এবং ২০১৮ সালে তা আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। সেই সময় তারা ১৫৪টি সংসদীয় আসন তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়।
তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিএনপির নেতাকর্মীদের পদত্যাগের প্রস্তাবের জবাবে বলেছেন, তিনিতো আমাদের নেতৃত্বের পদত্যাগ চাইতে পাড়েন না। এই অধিকার তার নেই। আমাদের পদত্যাগ চাইতে পারে আমাদের দলের লোকেরা। মূল কথা হলো আমরা তাদের( সরকারের) পদত্যাগ চেয়েছি বলেই তারা আমাদের পদত্যাগ দেখতে চান।
তিনি আরো বলেন,একটি দলের ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা,এক হাজার নেতাকর্মীর খুন,৫শ এর মতো নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, অর্থ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান তুহিন সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।