পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মুল যন্ত্রাংশ নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি খুলনার মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে খালাস শুরু করেছে কতৃপক্ষ। বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুর থেকে বন্দরের ৯ নম্বর জেটি দিয়ে আমদানিকৃত এসব পন্য খালাস শুরু করে। এর আগে রাশিয়ার ভলগা নদী থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে জাহাজটি মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে মোংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছায়। মালামাল গুলোর কিছু অংশ মোংলা বন্দর থেকে লাইটার জাহাজে করে নৌপথে কিছু অংশ খালাস করে সড়ক পথে পাবনায় পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ।
তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে যন্ত্রাংশ গুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী এমভি ডাইসি নামক জাহাজে করে ২ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন মেশিনারিজ প্যাকেজ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। তা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে সড়ক ও নৌপথে পাবনায় পাঠাচ্ছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। মেশিনারিজ গুলো পারমাণবিক কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ বলেন, রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ইউনিটের মালামাল মোংলায় এসে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের দিকে কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে তিনি জানান। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।