উত্তরাঞ্চলের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বাবলু রেনেতোস কোড়াইয়া, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী ডমিনিক মন্ডল সহ ৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ফেসবুকে আপত্তিকর ও অবমাননাকর কটুক্তি করার প্রতিবাদ করায় বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, বড়াল কণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক ও প্রকাশক সাংবাদিক অমর ডি কস্তা’র নামে মিথ্যাচার, মানহানিকর ও অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। এই মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন নাটোর জেলার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিক সহ, বড়াইগ্রাম, লালপুর, গুরুদাসপুর, বাগাতিপাড়া ও সিংড়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, আগামী ৬ নভেম্বর তারিখে বনপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে দুইটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দিতায় অংশ নিচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন বাবলু- মহাবীর-কাকলি-অনিল-শান্ত-ইউজিন প্যানেলের পক্ষে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হয়েছেন সাংবাদিক অমর ডি কস্তা।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, পরপর দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, কাল্বের পরিচালক ও সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বাবলু রেনেতোস কোড়াইয়ার নির্বাচনী গণসংযোগ সংক্রান্ত একটি ছবি সাংবাদিক অমর ডি কস্তা তার নিজস্ব ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই ছবিতে ছিলেন, শিক্ষক বাবলু রেনেতোস কোড়াইয়া, বিশিষ্ট ভাস্কর্য শিল্পী ডমিনিক মন্ডল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিলন গমেজ। ওই পোস্টে বিপক্ষ প্যানেলের একজন নারী সমর্থক মন্তব্য করেন, ” মদ খাওয়ার আগে না পরে”। ৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন সাংবাদিক অমর ডি কস্তা। তিনি লিখেন “যারা (এখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো নারীকে বুঝানো হয়নি) এই ধরনের মন্তব্য করেন তাদেরকে কষে থাপ্পড় মারা উচিত)। একজন শিক্ষক সহ ৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ওই নারী সমর্থকের এমন মন্তব্যে শিক্ষক সমাজ, খ্রিস্টান সমাজ ও বিশিষ্ট জনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সাংবাদিক অমর ডি কস্তা’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো শুরু করে একটি মহল।
এক পর্যায়ে বিপক্ষের প্যানেলের কয়েকজন নারী সমর্থক নারীকে কটুক্তি করার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিটির সভাপতি বরাবর অমর ডি কস্তা’র প্রার্থিতা পদ বাতিলের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বনপাড়া ধর্মপল্লীর প্রধান পাল পুরোহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রীবেরু, নির্বাচন কমিটির সভাপতি ফাদার নবীন পিউস কস্তা, সদস্য ফাদার লিটন কস্তা ও অপর সদস্য কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক সুক্লেশ কস্তা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলে সেখানে নারী সমাজকে কটুক্তি করার কোন প্রমাণ পাননি। এছাড়া যে সকল কারণে প্রার্থিতা পদ বাতিল করা যায় এমন কোন উপযুক্ত প্রমান দেখাতে পারেনি। যার ফলে সাংবাদিক অমর ডি কস্তা’র প্রার্থিতা পদ বাতিলের আবেদন নারাজি করা হয়েছে।
এসময় উভয় পক্ষ ফেসবুকে আর কোন মন্তব্য লেখা হবে না বলে অঙ্গীকার প্রদান করেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পর ফেরার পথে গির্জা গেটে কথিত সাংবাদিক রেজাউল করিম মৃধার আমন্ত্রণে আসা কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন উপস্থিত ১২ জন নারী। এ সময় রেজাউল করিম মৃধার পরামর্শ অনুযায়ী নারীরা হাতে হাত ধরে দাঁড়ায় এবং ভিডিও ধারণ সহ কয়েকটি ছবি তোলেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। পরবর্তীতে নির্বাচনে বিপক্ষ প্যানেলকে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে দেয়ার চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি সাংবাদিক অমর ডি কস্তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে নির্বাচনে পরাজিত করানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সাংবাদিকদের অনুনয়-বিনয় করে নিউজ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক অমর ডি কস্তা বলেন, ভুল বুঝাবুঝির অবসান হওয়ার পর নিউজ করার উদ্দেশ্যে নারীদের দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে ও তা বিভিন্ন কৌশলে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নিউজ বানিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করার অর্থই হচ্ছে উদ্দেশ্য প্রণেদিত। এছাড়া যে অডিও ক্লিপ প্রচার করা হচ্ছে তা তিন মাস আগের এবং ওই অডিও কাটছাঁট করে বিকৃতি করে প্রচার করা হয়েছে। সাংবাদিক অমর ডি কস্তা এ জাতীয় ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু সাংবাদিকতার চর্চা করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি।