পাবনার আদালতে হাজিরা দিতে এসে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক ব্যাক্তি। প্রকাশ্যে অপহরনের পর সন্ত্রাসীরা দুই দফায় ঐ ব্যাক্তির কাছ থেকে নয় লক্ষ টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকার দারুস সালাম থানার ২০/৩ হরিরামপুর এলাকার ব্যবসায়ী খন্দকার দেলোয়ার হোসেন (৭১) তার এক সহকর্মী ঢাকার মীরপুর-১ এর বাসিন্দা সামিউল্লাহ বাবুল (৫০) কে সাথে নিয়ে গত বুধবার (২১ অক্টোবর) মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জামিন নিতে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসেন।
হাজিরা শেষে জামিন পাওয়ার পর আদালতের গেটে পৌছানো মাত্র বেলা এগারো টার দিকে পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘববপুর মিশন হাউসের পেছনের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম, সাঁথিয়া উপজেলার বালিয়াকাঁন্দি ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মৃত জাবেদ মোল্লার ছেলে ইউনুস আলীসহ আরও দুইজন সিএনজি নিয়ে দুইজনকে অপরহনের চেষ্টা চালায়।
এ সময় সামিউল্লাহ বাবুল পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীরা খন্দকার দেলোয়ারকে সিএনজি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নিয়ে তাকে মারধর করে এবং দশ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় তার উপর। পরে জনতা ব্যাংক পাবনা বাজার শাখার মাধ্যমে সাভার থেকে এক লক্ষ টাকা অনলাইনে আনা হয়। এতে সন্ত্রাসীদের মন না ভরলে আরও ৯ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দেয়। পরে খন্দকার দেলোয়ারের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন সাভার থেকে এসে অপহরন কারীদের আরও ৮ লক্ষ টাকার চেক দেন। কিন্তু নগদ টাকা না পাওয়ায় সন্ত্রাসীরা দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে আটকে রাখে।
শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসীরা তালা না লাগিয়ে নাস্তা আনতে গেলে স্বামী স্ত্রী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে সরাসরি পাবনা সদর থানায় এসে মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাকে তিনদিন আটকে রেখে মারধর এবং তার স্ত্রীকে দুই দিন আটকে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আসামীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে মোবাইল ট্রাকিং করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে জানানো হয়।