পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামীসহ ৩জনকে আসামী করে দেশ ছাড়া করার পায়তারা করছে মোসা. মরিয়ম আক্তার (৩২) নামের গৃহবৃধু। মরিয়ম আক্তার হচ্ছেন উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের পানখালী গ্রামের নুরু মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে।
গৃহবধুর স্বামী মো. সাইদুল ঘরামী হচ্ছেন একই গ্রামের মো. ইউনুচ ঘরামীর ছেলে। দীর্ঘ ১৫ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক মো. সাইদুল ঘরামীর সাথে মোসা. মরিয়ম আক্তারের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ১ম সন্তানের বয়স ১৪ বছর এবং ২য় সন্তানের বয়স ৫ বছর। বিবাহের পর থেকেই মরিয়ম আক্তার শ্বশুর শ্বাশুরীকে মেনে নিতে পারে নি। তাদের সাথে প্রায়ই কারণে অকারণে ঝগড়া করে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশ বৈঠক হলেও সুধরায়নি মরিয়ম আক্তারের চরিত্র।
এ বিষয়ে মরিয়ম আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে স্বামী মো. সাইদুল ঘরামী জানান আমাদের বিবাহের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার বাবা মাকে দেখতে পারে না। আমার বাবা মায়ের কথা শোনে না। কিছু হলেই এসে আদালতে মামলা করে।
গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও একটি মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং সিআর ৫০৮/২০২০। তারিখঃ ০৬/১০/২০২০ ইং। এ মামলা বিষয়ে মো. সাইদুল ঘরামীর পিতা মো. ইউনুচ ঘরামী বলেন, আমার ছেলেকে বিবাহের পর থেকেই মিথ্যা মামলা জড়াচ্ছে। একটু হলেই যৌতুক মামলা করার ভয় দেখায়।
আমরা গরিব মানুষ। কিছু বলতে পারি না। আমার ছেলে বউ আমাদেরকে মান্য করে না। আমার ছেলের অনুমতি ছাড়াই বাবার বাড়ি যাওয়া আসা করে। বিভিন্ন জায়গার তার যোগাযোগ। এ বিষয়ে চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করব।