শুন্য হওয়া বেড়া উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন দলের মনোনয়ন বোর্ড বেড়া উপজেলার জাতসাখিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুকে মনোনয়ন দেন। মনোনয়ন হাতে পাওয়ার পর ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় ফেরেন তিনি। এরপর সদ্য প্রয়াত বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের কবর জিয়ারত করার জন্য নেতাকর্মী নিয়ে কবরস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন বাবু। এতে বাবুর গাড়িসহ মোট ত্রিশটা গাড়ি ভাংচুর করে এবং হামলায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। এরই প্রতিবাদে রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল এগারোটার সময় বেড়া উপজেলা আওয়ামিলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ দুলাল এর নেতৃত্বে হাজারও নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে।
বেড়া উপজেলার সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে অলিতে-গলিতে প্রতিবাদ মিছিল প্রদক্ষিণ করে সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে এসে শেষ হয়। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, যারা আওয়ামিলীগ প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে তারা কখনো আওয়ামিলীগ এর লোক হতে পারে না। তিনি এও বলেন, এখন থেকে আমাদের এলাকায় কেউ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করতে আসলে আমরা তাকে প্রতিহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেবো।
১০ ডিসেম্বর সারাদিন আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেড়া উপজেলা থেকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত করতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। হামলার ঘটনায় পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করায় এর জবাব চাওয়া হয় প্রতিবাদ মিছিলে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তরিকুল ইসলাম তারেক, সাবেক সভাপতি বেড়া পৌর ছাত্রলীগ।
সাজ্জাদ হোসেন শিলু, বেড়া উপজেলা যুবলীগ। শফিকুল ইসলাম শফি, বেড়া উপজেলা যুবলীগ। শাহিনুর রহমান ডালিম, বেড়া উপজেলা যুবলীগ। ফরহাদ হোসেন, সভাপতি বেড়া পৌর ৮ নং যুবলীগ। কাজল হোসেন, বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগ। রুবেল মোল্লা, আহবায়ক বেড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। আওয়ামিলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ শ্রমিকলীগ’সহ সাধারণ জনগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।