ময়মনসিংহে এক বাসায় মানুষের কঙ্কালের বস্তা ও কার্টুনভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের হাড় পাওয়া গেছে। মাথার খুলি ও শরীরের হাড়গুলো দেশের বিভিন্ন ক্রেতার পাশাপাশি বিদেশেও বিক্রি হতো। এই কঙ্কাল চোর চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি খুলি, দুই বস্তা পরিমাণ মানবদেহের কঙ্কাল ও কঙ্কাল প্রক্রিয়াজাত করার ক্যামিকেল।
সদর থানাপুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় তল্লাশি করে মজুদ করা মানুষের কঙ্কাল। পরে রাত ২টা থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান শুরু করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে আটক করা হয় বাপ্পি (৩০) নামে এক যুবককে। সে নগরীর কালিবাড়ি কবরখানা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযানে বাপ্পির হেফাজতে থাকা কার্টুনভর্তি ১২টি মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় দুই বস্তা হাড়। একই সঙ্গে মৃতদেহ দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করে কঙ্কাল করার ক্যামিকেলও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ রোববার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
পুলিশ আরও জানায়, বাপ্পি দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইতোপূর্বে সে একবার কঙ্কালসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই মামলায় জেলও খেটেছ। কিন্তু এরপরও তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। বাপ্পিসহ বেশ কয়েক সদস্যের একটি চক্র জড়িত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে। নিষ্ঠুরভাবে কবর থেকে মরদেহগুলো তুলে ক্যামিকেলের মাধ্যেম প্রক্রিয়াজাত করা হতো। পরে সেগুলো দেশিয় ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিক্রি হতো। জানা যায় হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে আজ রোববার দেশের বাইরে পাচারের কথা ছিলো কঙ্কালগুলো। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে তার আগেই অভিযান চালায়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকাদার বলেন, গোপনসূত্রে সংবাদ পেয়ে বাপ্পি নামে এক যুবককে আটক করা হয়। এ সময় বারোটি খুলি ও দুই বস্তা পরিমাণ মানবদেহের হাড় উদ্ধার করা হয়। এগুলো দেশের বাইরে পাচারের প্রক্রিয়া চলছিল। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এব্যপারে মামলা দায়ের করে এই চক্রের অন্য সদস্যদেরকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।