দলের প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা দাবি এ যেন মামা বাড়ির আবদার। দলের পদ-পদবী নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে মহাপন্ডিত বনে যাওয়া নতুন কোন কিছু নয়। হার-হামেশাই চোখ মিললে দেখা যায়, যে সরকার যখন ক্ষমতায় বসছে তাদের মুলদল বা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলের প্রভাব খাটিয়ে এলাকার দুর্বল প্রতিপক্ষ ব্যক্তিদের টার্গেট করে চাঁদা চাওয়া হয়ে থাকে।
এতে করে দলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুন্ন হয় তেমনি করে স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে নেমে আসে জনপ্রিয়তার ধ্বস। ঠিক এমন অভিযোগই উঠে এসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়,করমজা ইউনিয়নের আফরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম আারাজি আফড়া মৌজায় পালিদাহ, কাটিয়াদহ, কাছুমগাড়ী, জিয়ালগাড়ী, ও গরুচুনা কেস নং ৯০ বিলসহ জলকর উপজেলা ভুমি অফিস থেকে ৯৭ হাজার ২ শত টাকায় গত ১৫ নভেম্বরে এক বছর মেয়াদে লীজ গ্রহণ করে। লীজ গ্রহনের পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিলে মাছ ধরার জন্য যায়।
স্থানীয় সন্ত্রাসীখ্যাত চাঁদাবাজ এবং একাধিক মামলার আসামি করমজা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও তার সহোযোগিরা পথিমধ্যে রফিকুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা লোকজনকে ঘিরে ধরে চাঁদা দাবি করা করে। চাঁদা দিবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গুলি করে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়ে জলকর এলাকা থেকে জোরপুর্বক তাড়িয়ে দেয়। রফিকুল প্রানের ভয়ে তার লোকজন নিয়ে চলে আসে এবং পরের দিন বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
আবেদনের অনুলিপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, এবং সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। করমজা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ফয়সাল রায়হান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।