পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম “স্বাধীনতা চত্বর” উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবনির্মিত স্বাধীনতা চত্বরের উদ্বোধন করেন।
গনভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পাবনা প্রান্ত থেকে স্বাধীনতা চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল “স্বাধীনতা চত্বর” এর ওপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তির স্মৃতিতে ধন্য পাবনা টাউন হল চত্বর। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, জাতির পিতার সহচর ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতিধন্য।
আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ থেকে ১২ বার সভা, সমাবেশ করেছেন পাবনার টাউন হল ময়দানে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পাবনা টাউন হল প্রতিষ্ঠা হলেও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চ নাম দেয় কতৃর্পক্ষ। পরে নতুন আঙ্গিকে নির্মিত চত্বরের ও নাম করণ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর।
স্থানীয় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা চত্বরের নির্মাণকাজ চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হয়। এটি নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ঘটাবে বলে উদ্যোক্তারা আশা করেন। এখানে প্রতিটি ইট পাথরের নকশায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস বিদ্যমান। স্বাধীনতা চত্বরের প্রধান মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্ত ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ২০ ফুট। যার দুই পাশে দু’টি গ্রীন রুম এবং টয়লেটসহ ওয়াশরুম রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও প্রস্ত ২৪ ফুট। মাঠের দৈর্ঘ্য ১১৮ ফুট ও প্রস্ত ১১৭ ফুট। যার তিনদিকে দুই স্তরের বসার গ্যালারি রয়েছে। মাঠের উত্তরপুর্ব কর্নারে প্রবেশের প্রধান ফটক ও দক্ষিণ ও পুর্ব কর্নারে ছোট একটি গেট রয়েছে।
এছাড়া সর্বোপরি পুরো মাঠে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ ঘাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের সুচনা লগ্নেই সারা দেশের মধ্যে পাবনা প্রথম হানাদার মুক্ত হয় এবং এখানেই এ জেলার প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়।