ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিদুৎ লাইন নিতে বাধা দেওেয়ায় স্বামী-স্ত্রী-সন্তানকে পিঠিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরের চালের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন নিতে বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশীরা স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে। এ ঘটনায় পারভিন বেগম (৪০) নামে গৃহবধূর মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও আহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বালিহাটা গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা হচ্ছেন হীরা মিয়া। তাঁর প্রতিবেশী মোশতাক আলী পান্না ও শিপন মিয়া। প্রতিবেশীরা নিজেদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য হীরা মিয়ার বসতঘরের চালের ওপর বিদ্যুৎ সরবরাহের তার নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে হীরা বাধা দেন। এ নিয়ে প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। পরে মোশতাক আলী পান্না ও শিপন মিয়া এবং তাঁদের পক্ষের লোকজন হীরা মিয়াকে (৫২) বেদম মারধর করতে শুরু করে। স্বামীর চিৎকার শুনে স্ত্রী পারভীন ও ছেলে লিমন (২৬) ছুটে গেলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। পরে আশপাশ থেকে লোকজন ছুঁটে এলে মারধরকারীরা চলে যায়।
আহত লিমন মিয়া জানান, আমাদের বাড়ির ফাঁকা জায়গায় নতুন একটি ঘর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ অবস্থায় ওই জায়গা দিয়েই বিদ্যুত লাইন নিলে ঘর নির্মাণ করা সমস্যা ও বিপদজনক হবে। এতে বাধা দিলে পান্নার লোকজন তাঁর মা ও বাবা ছাড়াও তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
অভিযুক্ত মোশতাক মিয়া পান্না জানান, তাঁরা নিজেদের জমিতে একটি খুঁটি পুঁতে একাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাইছিলেন। হীরা মিয়া বাধা দিলে অনেকটা ঘুরিয়ে খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তারপরও হীরা মিয়া বাধা দিলে দুইপক্ষে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি হয়। হীরার লোকজন তাদের মারধর করে।
ঈশ্বরগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম-বাণিজ্য) নাজিম আহমেদ বলেন, বালিহাটা গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে লাইন টানাতে বাধাপ্রদান বা মারধরের ঘটনা সম্পর্কে তাঁর দপ্তর অবহিত না। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন পক্ষের মামলা দায়ের করার সংবাদ পাওয়া যায়নি তবে এব্যাপারে এলাকায় উওেজনা ভাব বিরাজ করছে।