গনমাধ্যমে ও অনলাইনে এই সংবাদটি প্রকাশ ও ভাইরাল হলে অবশেষে বন্ধ হল মুক্তার বাল্যবিবাহ। ধুমধাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৩ বছরের মুক্তার বিয়ের আয়োজন চলছিল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার হালিউড়া গ্রামে।
এ নিয়ে আজ শুক্রবার অনলাইনে ময়মনসিংহের নান্দাইলে আজ বিয়ে হচ্ছে ১৩ বছরের মুক্তার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে ওই বিয়ে বন্ধের দায়িত্ব নেয় থানাপুলিশ। দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে গেলে তাদের দেখে পালিয়ে যায় কনেসহ তার বাবা ও পরিবারের লোকজন। পরে চেয়ার টেবিল সরিয়ে সামিয়ানা খুলে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারা বা সাজা দিতে না পারায় আবারো বাল্যবিয়ের অশঙ্কা করছেন অনেকে।
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল করিম জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আকন্দের নির্দেশে তিনি একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যান। এক পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাল্য বিয়ে কনেকে পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র রেখেছেন। অন্যদিকে বরের পরিবারকে বলা হয়েছে কনের বাড়িতে না আসার জন্য।
জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার হালিউড়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের মেয়ে মুক্তা আক্তার। স্থানীয় আব্দুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ে। পাশের শেরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাবাড়িয়া গ্রামের মো. মজিত মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়ার সাথে বিয়ে দিন তারিখ নির্ধারন হয়। আজ শুক্রবার ছিল বিয়ের দিন। বাল্য বিয়ে ঠেকাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ওই বিয়ে ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তবে নান্দাইল থানা পুলিশ বন্ধ করেছে এই বাল্যবিয়ে। তবে লুকিয়ে বিয়ের আশংকা করছে সমাজের অভিজ্ঞমহল।