ময়মনসিংহের নান্দাইলে আপওিকর অবস্থায় গ্রেফতারকৃত সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অবশেষে হল ধর্ষন মামলা। ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ২০ লাখ টাকার দেনমোহরের শর্তে ফের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও রক্ষা পাননি পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম (৩২)।
এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়ে থানায় আনার পর আজ শুক্রবার ওই তরুণী বাদী হয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই পুলিশ সদস্যকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চর উত্তরবন্দ গ্রামে আব্দুল মন্নাছের বাড়িতে এক তরুণীসহ স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন নান্দাইল থানার সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম (৩২)। তিনি বর্তমানে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি থানার লেপসিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেসময় বিষয়টি স্থানিয় জনতার মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় আনে নান্দাইল থানা পুলিশ। থানায় আটক পুলিশ সদস্য দাবি করেন, তরুণী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে তাদের বিয়ের কাগজ যাচাই করে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ অবস্থায় ওই তরুণীকে বাদী করে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে তরুণীর পরিবার থানায় বসেই সিদ্ধান্ত নেয় ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে ফের বিয়ে করলে মামলা থেকে ছাড় দেওয়া হবে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আসে। অবশেষে তাঁদের নির্দেশেই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ধর্ষণের মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়।
নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ মামলা রেকর্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে। এব্যাপারে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।