ময়মনসিংহের গফরগাঁও নাতিরা জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ফেল গেল রাস্তায়। অমানবিক এই ঘঠনাঠি ঘঠেছে গফরগাঁও উপজেলায় বসত বাড়ির জমি লিখে নিয়ে হাসিনা বেওয়া নামে (১০০)বৃদ্ধাকে শীতের মধ্যে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছে নাতিরা। গফরগাঁও থানা পুলিশ ৯৯৯নাম্বারের ফোন পেয়ে শতবর্ষী ঐ বৃদ্ধাকে তিতাস গ্যাস অফিস সংলগ্ন রাঘাইচটী গ্রামের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কসপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জানা যায়,পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের রাঘাইচটী গ্রামের মরহুম আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাসিনা বেওয়া।
ছেলে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে স্বামী আব্দুল খালেক মারা যান প্রায় ২৫ বছর আগে।স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলে শহিদ মিয়া ও মেয়ে জোসনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন শহরের তিতাস গ্যাস অফিস সংলগ্ন রাঘাইচটী এলাকায়।ছেলে শহিদ মিয়া বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন ত্রিশাল উপজেলার ধলা বাজারে। মেয়ে জোসনা বেগম মারা গেছে ৪/৫ বছর আগে।বসত বাড়ি যে দেড় শতাংস জমি ছিল তা কৌশলে লিখে নেয় মেয়ের ঘরের নাতি ইব্রাহীম ও ইস্রাফিল।বয়সের ভারে ন্যাজু হাসিনা বেওয়া এখন আর চলাফেরা করতে পারে না।কনকনে শীতের মধ্যে হাসিনা বেওয়াকে ভোরে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান নাতিরা।
বৃদ্ধার সৎ ছেলে জালাল মিয়া জানান,মা হাসিনা বেওয়া আমাদের সাথে থাকেন না।জমি লিখে নেওয়ার পর থেকে নাতি ইব্রাহীম ও ইস্রাফিলের সঙ্গে থাকেন।এবিষয়ে গফরগাঁও থানার এসআই আহসান হাবিব জানান,বৃদ্ধা হাসিনা বেওয়াকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কে বা কারা ৯৯৯ নাম্বারের ফোন করেন।বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃদ্ধার দুই সৎ ছেলেকে আটক করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকে নাতিরা পলাতক রয়েছে। তবে এব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।