November 24, 2024, 2:52 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ম-মেয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ!

তাপস কর, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
  • 220 দেখুন

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ম-মেয়ে বানিয়ে মাদ্রাসাতেই দিনের পর দিন ধর্ষন করেছে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে। উম্মাহাতুল মোকমেনিন আদর্শ মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মাওলানা আবুল মনসুর (৫৫)। এলাকায় ‘হুজুর’ বলেই ব্যাপক পরিচিত। তিনিই কিনা মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ম-মেয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন! স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকায়।

স্থানীয় সুত্র জানায়, অভিযুক্ত আবুল মনসুর উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের মো. বছির উদ্দিনের ছেলে। গত প্রায় ১০ বছর আগে তিনি পাশের উচাখিলা বাজারের জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। বাসার সামনেই গড়ে তোলেন মাদরাসা। কোরআন শিক্ষার পাশপাশি একাধিক শিক্ষক রেখে তিনি এখানে কোচিং ব্যবসাও করেন। এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মাদরাসাটিতে পড়াশোনা করে।

জানা যায়, আবুল মনসুর এলাকাতেই দুটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রীও এক সঙ্গে বসবাস করেন। এ অবস্থায় পাশের একটি গ্রামের কিশোরীকে ধর্ম- মেয়ে বানিয়ে ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন নিয়মিত। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরিবারকে রাজি করিয়ে নিজ খরচে মাদরাসায় রেখেই পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নেন। এর মধ্যে তার কু-মতলবের কারণে কিশোরী তার (হুজুর) কাছ থেকে চলে যায় বাড়িতে। বেশ কয়েকদিন আর মাদরাসায় আসেনি।

কিশোরীর মা জানান, তাঁর মেয়ে আর মাদরাসায় যাবে না বলে মন খারাপ করে থাকে। আর কোনো কিছুই বলে না। এ অবস্থায় একদিন হুজুর বাড়িতে এসে অনেক হাদিসের কথা বলে ফের মেয়েকে নিয়ে যায়। মাসখানেক পরে মেয়ে আবার বাড়িতে চলে এসে জানায়, বিভিন্ন শপথ করে হুজুর তার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করছে এবং প্রতিবাদ করায় বিয়ে করবে বলে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে হুজুরকে ডেকে আনা হয় এবং তাঁর উপস্থিতিতে হুজুর কর্তৃক দিনের পর দিন ধর্ষণ’-এর বর্ণনা দেয় কিশোরী।

চেয়ারম্যান মোতব্বিরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা মেলে হুজুরের জবানবন্দি থেকেই। কারণ তিনিই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকবার ক্ষমা চেয়েছেন। পরে মেয়ের পরিবারকে বলেছেন থানায় গিয়ে মামলা করতে তবে এ রিপোর্ট লিখা পযর্ন্ত এব‍্যাপারে কোন মামলা হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102