চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলার খরনদ্বীপ গ্রামের কৃতিসন্তান হিমেল রাজ। জন্ম ঢাকায়। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের উৎসাহে অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত। বিটিভি সহ বিভিন্ন চ্যানেলে নানা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আসছেন শৈশব কাল থেকে। বাবার স্বপ্ন ছিলো একদিন অনেক বড়ো অভিনেতা হবে।
সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছিলেন হিমেল রাজ। শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছে অসংখ্য প্যাকেজ এবং ধারাবাহিক নাটকে। ১৯৯৯ সালে হঠাৎ একদিন রোড এক্সিডেন্টে হিমেল রাজের বাবা মারা যায়। থেমে যায় অভিনয় জগতের দশটি বছর। তারপর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন আবার নতুন করে পা রাখেন অভিনয় জগতে। কিন্তু এবার পথটা সহজ ছিলো না।
মিডিয়াতে কেউ পরিচিত না থাকার কারণে প্রচন্ড স্ট্রাগেল করতে হয় হিমেল রাজকে। তিনি বলেন একটি সুযোগের জন্য অনেক দরজায় ঘুরেছি। অনেক সময় হতাশ হয়েছি কিন্তু ভেঙ্গে পড়িনি। কারণ মা বলতো স্বপ্ন শক্তিশালী হলে অবশ্যই পূরন হয়। মায়ের সাহস আর বিশ্বাসে আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো আমি একজন বড়ো অভিনেতা হবো। সেই লক্ষেই পথ চলছিলাম।
টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছিলাম কিন্তু স্বপ্ন ছিলো বড় পর্দায় কাজ করার। হঠাৎ একদিন মিডিয়ার বড় ভাই পলাশ খান আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় গুনী পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন স্যার এর সাথে। তিনি আমাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র “একজন মহান পিতা” ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেন।
এই ছবিটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ মাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জনাব শেখ শাহ আলম। আমি উনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
সবশেষে বলতে চাই আমি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান কিন্তু স্বপ্ন দেখি অনেক বড়ো, আর সেই স্বপ্ন পূরনে সকলের সহযোগিতা অনেক বেশি প্রয়োজন। এই ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে আমার প্রথম চলচ্চিত্র “একজন মহান পিতা”। সবার কাছে অনুরোধ একটিবার হলে গিয়ে আমার ছবিটি দেখবেন। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে নিয়ে যাবে অনেকদূর।