ময়মনসিংহে আপন দুই ভাই দুই জেলার ডিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করজে। জানা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আপন দুই ভাই দুই জেলার ডিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার যে ১১ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে লক্ষীপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ। তিনি ২২তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। আনোয়ারের আপন বড় ভাই মোহাম্মদ কামরুল হাসান ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে হবিগঞ্জের ডিসি হিসাবে দায়িত্বে পালন করছেন ২১তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। দুই ভাইয়ের একসঙ্গে ডিসির দায়িত্বে থাকার ঘটনা জনপ্রশাসনে খুব একটা নেই।
একসঙ্গে দুই ভাই এই দায়িত্বে থাকতে পেরে তাদের পরিবারের সবাই খুশি। নতুন ডিসির দায়িত্ব পাওয়া আনোয়ার হোসেন, বলেন, তারা নয় ভাই-বোনের ছয়জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। নয় ভাই- বোনের মধ্যে চারজন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। একজন সরকারি একটি প্রকল্পে চাকরি করছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনজন সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন। এক ভাই বেশি দূর পড়াশোনা করেননি।
আনোয়ার জানান, তাদের তৃতীয় বোন রেবেকা সুলতানা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রকল্পে উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছেন। চতুর্থ ভাই কামাল হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে পাস করে ২৮তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন। পঞ্চম ভাই মোবারক হোসেনের পড়াশোনা খুব বেশি দূর না এগোনোয় তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে থাকেন বলে জানান আনোয়ার।
ষষ্ঠ বোন তানিয়া সুলতানা মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আছেন। ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন তিনি। সপ্তম বোন মুনিরা সুলতানা আনন্দমোহন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নানকোত্তর পাস করে বিসিএস দিচ্ছেন। আনোয়ার জানান, অষ্টম ভাই এহসানুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরি খুঁজছেন, তিনিও বিসিএস দিয়েছেন।
তারা সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী কর্মজীবনে যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পাড়ে।