করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা, দালালদের দৌরাত্ব রোধ ও হয়রানির হাত থেকে মুক্তি দিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেক পৌছে দিলেন বাগেরহাটের নবাগত জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক।কোন প্রকার তদবির,সুপারিশ ও উৎকোচ ছাড়া বাড়িতে বসে নিজের পাওনা টাকার চেক পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের আশার আলো মসজিদের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের জন্য অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এই চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক।এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিজাউর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)মো. শাহিনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানসহ জেলা প্রশাসণের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শরণখোলায় ২৩জন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিককে ৫৪ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন।
এর আগে সকালে শহরতলীর পচাদিঘির পাশে দশানীস্থ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দুই জমির মালিকের বাড়িতে ৮ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ টাকার চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
বাড়ি বসে ভূমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে খুশি জমির মালিক ও স্থানীয়রা।ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক খাদেম মনিরুল আলম ও রওসনারা বেগম বলেন,অধিগ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য আমাদের অনেক ঘুরতে হত।ডিসি অফিসে গনশুশানীতে অংশ নিতে হত।অনেক কাজ নিজেরা বুঝতে পারতাম না। বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হত।আজ জেলা প্রশাসণের কর্মকর্তারা বাড়িতে এসে অধিগ্রহণের চেক দিল।বাড়িতে বসে এই চেক পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি।জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ চালু থাকলে জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা হয়রানির হাত থেকে বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
নবাগত জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে তাদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করছি। উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের বাড়ি বাড়িতে গিয়েই ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া অব্যাহত থাকবে।জমি অধিগ্রহনের টাকা প্রদানে হয়রানি ও দালালি মুক্ত থাকবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কোন ব্যক্তি এই ধরণের অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।