বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীতে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। রোববার বিকাল ৪টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলমের নেতৃত্বে তিনি সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে সন্ধ্যা নদীর ওপরে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা এবং সম্ভাব্যস্থান পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি উপজেলার বিশারকান্দিতে সন্ধ্যা নদীর শাখা বেলুয়া ও ঝনঝনিয়া নদীতেও ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন। এর আগে ১১ নভেম্বরও প্রকল্প পরিচালক মো.এবাদত আলী বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শণ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী বলেন সন্ধ্যা নদীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নদী ও খালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ প্রকল্প প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হবে এবং সকল প্রক্রিয়া শেষে সেতু নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম বলেন সন্ধ্যা নদীতে সেতু নির্মাণ তার অন্যতম স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে।
কৃষি ও মৎস্য সম্পদসহ সার্বিক অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। গ্রামীণ জনপদ শহুরে জনপদে রূপান্তর হবে। প্রসঙ্গত বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে সেতু নির্মিত হলে বরিশাল বিভাগের বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ এই সেতুটি ব্যবহার করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীস্থলে খুব সহজেই যেতে পারবেন। এছাড়া বরিশালের সঙ্গে পিরোজপুর,গোপালগঞ্জ,খুলনা,ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া ও যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সহজতর পথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্ত সূচিত হবে। বানারীপাড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি’ই সন্ধ্যা নদীর পশ্চিমপাড়ে এবং সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের কৃষির অপার সম্ভাবনা। সেতুটি হলে সেই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়ে দেশের অর্থনীতিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা অভূতপূর্ব সাড়া জাগাতে পারবেন। সেতুটি নির্মিত হলে ১৯৬৫ সালে নদীর পশ্চিমপাড় বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি হয়ে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সঙ্গে সড়ক নির্মাণের যে রূপরেখা তৈরি হয়েছিলো সেটারও বাস্তবায়ন হবে।
উল্লেখ্য বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শাহে আলম জাতীয় সংসদে সন্ধ্যা নদীর ওপরে সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছিলেন। যেটা ছিলো তার নির্বাচনকালীন জনসাধারণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার। সংসদের তার সেই দাবীর প্রেক্ষিতে এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক সেতু নির্মাণের জন্য সন্ধ্যা নদীর সম্ভাব্যস্থান যাচাই করতে আসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা,বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন,উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মহসিন-উল –হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হোসেন জুয়েল,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক,কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার লক্ষ্মী নারায়ন দেবনাথ,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েস,প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি প্রভাষক মামুন আহমেদ,সাধারন সম্পাদক সুজন মোল্লা,যুবলীগ নেতা মহসিন রেজা,মশিউর রহমান সুমন ও স্বপন মাঝী,পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শফিক শাহিন,সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ শাওন প্রমূখ।