ময়মনসিংহের নান্দাইলে পাওনা টাকার জন্য করা হয় গাজর-নাটক। অবশ্য বিষয়টি গ্রামবাসির নিকট প্রকাশ পায়। ও পাওনাদারকে টাকা দিতে হবে না এই শর্তে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে পাওনাদারকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন জহিরুল ইসলাম। পরে ঘটনা প্রকাশ হলে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পরেনি।
বৃহস্পতিবার রাতে পাওনাদার মাছ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে জহিরুল ইসলাম ও ঋণ গ্রহীতা জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামের চা-দোকানী জামাল উদ্দিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা পান কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের হারারকান্দি গ্রামের আবুল বাসার। দীর্ঘ দিনেও টাকা ফেরত না দেওয়ায় বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। এ অবস্থায় পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার জামাল আবুলকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়।
ঘরে প্রবেশের পর এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর দিকে একটি পুটলি নিক্ষেপ করে তুই গাঁজার ব্যবসা করিস বলে হুমকি দিতে থাকে। অপর দিকে তাকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলে। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণসহ বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি তদন্ত আবুল হাসেম বলেন, ঘটনাটি ছিল সাজানো। একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসিরা যার নাম রাখেন-গাজার নাটক।