ক্রেতা সেজে র্যাব আট ও পূর্ব সুন্রবন বিভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ মো: গাউস ফকির নামে এক চোরা শিকারিকেআটক করেছে। বুধবার দুপুরে বনবিভাগ ও র্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে এই চক্রেরমূল হোতা গাউসকে চামড়াসহ গ্রেফতার করা হয়েছে । তার বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী হত্যা মামলা করা হয়েছে । এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছে বনবিভাগ । এদিন দুপুরে তাকে বন আদালতে নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । বন বিভাগ ধারনা করছে কয়েক মাসআগে এই বাঘাটিকেি শকার করা হয়েছে ।
র্যাব ও বন বিভাগের পক্ষথেকে আরো জানানো হয়, গত শনিবার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও র্যাব আটের সহযোগীতায় যৌথভাবে ক্রেতা সেজে সতেরো লাখ টাকা দরদাম করে তের লাখ টাকায় দফা রফার পর মঙ্গলবার বিকালে টাকা নিয়ে যৌথ অভিযানে যায় র্যাব ও বনবিভাগ । পূর্বের কথা মতো শরণখোলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে জলিলের ব্রিজের নিচে থেকে রাত সাড়ে সাতটার সময় বাঘের চামড়াসহ শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মৃত রশিদ ফকিরের ছেলে চোরা শিকারি মো: গাউস ফকিরকে আটককরে র্যাব । জব্ধকৃত বাঘের চামড়াটি আটফুট এক ইঞ্চি লম্বা ও তিনফুট এক ইঞ্চি চওড়া ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, বন্য প্রানী আইন ২০১২তে কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল ও ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।