বাগেরহাটের শরণখোলায় সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক চিহ্নিত ছিনতাইকারীর পাঁ ভেঙ্গে দুই চোখ নষ্ট করে দিয়েছে অতিষ্ট এলাকাবাসী। রোববার (২৪ জানুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে। আহত সাইফুল শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের নুরু মোল্লার পুত্র। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজী, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি রাজৈর এলাকায় চুরি করতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া একই এলাকার আসলাম হাওলাদারের একটি অন্তসত্তা গরুর পায়ের চারটি রগ কেঁটে দেয়। এর আগে সে আসলামের ঘরে ডুকে তার মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় এক ডজন মামলা রয়েছে। এছাড়া সাইফুল পুলিশের হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েছিল এবং বাগেরহাট জেলখানার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে। সাইফুলের একরপর এক অপরাধ কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তার ভয়ে এলাকার অনেক লোক পালিয়ে থাকতো। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ভোর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাইফুলকে মারধর করে পাঁ ভেঙ্গে দুই চোখ নষ্ট করে দিয়ে ফসলের মাঠে ফেলে রেখে যায়। পরে এলাকার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। সাইফুলের চিকিৎসার জন্য তার পিতা নুরু মোল্লাকে খবর দেয়া হলে ছেলের সাথে তার কোন সর্ম্পক নেই বলে তিনি জানান।
শরণখোলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সাইফুলের দুই চোখ নষ্ট এবং বাম পা ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্ত তার কোন অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না