মেয়েকে সাথে নিয়ে ভোট দিয়েছেন বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট-কুচুয়া) আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক এমপি অধ্যাপক মীর সাখাওয়াত আলী দারু। ১৪ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নাগের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
বাগেরহাট-২ আসনের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক এ এমপি এলাকার মানুষের কাছে ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন মীর সাখাওয়াত আলী দারু এমপি থাকালিন তার আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থ ও বয়সের ভারে নতজানু অধ্যাপক মীর সাখাওয়াত আলী দারু হুইল চেয়ারে বসে একমাত্র কণ্যা মীর জেনিয়া সাখাওয়াতকে সাথে নিয়ে ভোট দেন।
মীর জেনিয়া সাখাওয়াত বলেন, আমার বাবা ছিলেন বাগেরহাট সদর আসনের তিন বারের নির্বাচিত এমপি। এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন তিনি। ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে তিনি ছিলেন অগ্রগামি। তিনি তার কর্মজীবনে নিজের জন্য কিছুই করেননি। সব সময় এলাকার অসহায় মানুষের জন্য চিন্তা করতেন। সুখে-দুখে সব সময় মানুষের পাশে থাকতেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কথা বলতে না পারলেও তিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গেছেন। আজ ভোট দেওয়ার পর তার চেহারায় ছিলো আনন্দের হাসি। আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রাথীকে সব সময় তার জন্য ভালোলাগা ও ভালোবাসার প্রতিক।
উল্লেখ্য, তিনবার এমপি অধ্যাপক মীর সাখাওয়াত আলী দারু এমপি থাকাকালিন নিজের জন্য কিছুই করেনি কখনো। বাগেরহাট-২ আসন নয় বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি অসংখ্য, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এলাকার শত শত বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি ২০০০ সালে এমপি থাকাকালিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শারিরীক ভাবে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার বানু বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। একমাত্র মেয়ে মীর জেনিয়া সাখাওয়াত কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী।