বাগেরহাটে নির্বাচন পরবর্তি সহিংশতায় বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান তানভির হোসেন লিপনের বাড়িতে হামলা ও ফাকাগুলি বর্ষন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লিপনের কর্মচারী ইকবালকে মারধরের পরে তাকে মেরে ফেলারও হুমকী দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর আবেদন ও আহত ইকবালের স্ত্রী মনিরা বেগম একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুটি বিষয়েই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
আওয়ামী লীগ নেতা খান তানভির হোসেন লিপন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে খারদ্বার এলাকার সুমন পাইক, রাসেল ফকির, হাফিজ ফকির, সুমন হাওলাদার, হারুণ ফকির ও শহিদ শেখ বুধবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের খারদ্বারস্থ আমার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে রাজমিস্ত্রি ইকবাল হাওলাদারকে বেধরক মারপিট করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমি বাড়িতে গেলে বাড়ির পূর্ব পাশে ড্রেনের নিকট এসে আমাকে গালিগালাজ ও মারপিটের ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায় তারা। এই অবস্থায় আমি মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে ইকবালকে মারধরের ঘটনায় তার স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সন্ধ্যার সময় খান তানভির হোসেন লিপনের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে সুমন পাইক, রাসেল পাইক, হাফিজ ফকির, রুবেল ফকির ও তোরান হোসেন আমার স্বামীকে বেধরক মারপিট করে। রামদা দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় কোপ মারে। তার প্যান্টের পকেটে থাকা ৭২ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার স্বামীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি আমার স্বামীর উপর হামলার বিচার চাই।
আহত ইকবাল খারদ্বার এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে। সে এলাকায় রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন। হামলার পর থেকে ইকবাল বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ইকবালের স্ত্রী মনিরা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে