অসহায় গরীবের বন্দু মাহাফুজ মোল্লাকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র অসহায় মানুষের যে কোন বিপদে ও সহযোগীতা করায় সকল শ্রেনীর মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তায় সৃষ্টি হয়েছে যুবলীগ নেতা মো. মাহফুজ মোল্লার। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারন মানুষের একটাই দাবি তারা মাহাফুজ মোল্লাকে বাধাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মাহফুল মোল্লা আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের ত্যাগি নেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এলাকার অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই ,খাতা কিনে দেয়া, অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা, এলাকায় কেউ কোন সমস্যায় পড়লেই তিনি ছুটে যান সবার আগে। এছাড়া ইউনিয়নের সাধারন মানুষকে মামলা থেকে বাচাতে তিনি আলোচনার মাধ্যমে অনেক জটিল বিষয় সহজ ভাবে সমাধানে অগ্রনি ভূমিকা পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ১৯৯০ সালে স্বৈর-শাসক এরশাদ বিরাধী আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। ১৯৯১ সালে মোরেলগঞ্জের সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজে ছাত্র ঐক্য নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে নির্বাচিত হন কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। ২০০৫ থেকে তিনি বাধাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা আঃ আজিজ মোল্লা বাঁধাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সদস্য ও যুদ্ধাপরাধী মামলার সাক্ষী হিসেবে নিয়োজিত। তার চাচা ছিলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ মোল্লা। এছাড়াও তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ নির্বাচনে বাধাল ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা সেন্টার কমিটির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের এ নেতা বিএনপির আমলে হত্যাসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হয়েছেন। তার পরিবারের উপর চালানো হয়েছে নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন।
বাধাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নিমাইচন্দ্র দাস বলেন, এলাকার মানুষের সুখে দুখে আমরা সব সময় মাফুজকে কাছে পেয়েছি। আওয়ামী লীগের র্দূসময়ের নেতা তিনি। এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষদের শেষ আশ্রয়স্থল তিনি। আমি মনে করি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
বাধাল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কবির সরদার বলেন, মাহফুল মোল্লা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগি নেতা। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার কারনে তিনি বিএনপির আমলে মিথ্যা মামলাসহ নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি তার পরিবারও। দূর্দিনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। এমনকি তার জায়গা-জমি বিক্রি করে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহয়তা করেছেন। এছাড়া এলাকার অসহায় মানুষ দিনে রাতে যে কোন সময় তাকে ডাক দিলে তিনি তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে ছুটে গিয়েছেন। তিনি যদি বাধাল ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোনয়ন পান, তাহলে ইউনিয়নর ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যাপক উপকৃত হবেন।
বাধাল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি শীবাজি দাস বলেন, মাহফুজ ভাই হচ্ছে গনমানুষের নেতা। বাধাল ইউনয়নের সর্বস্থরের জনগনের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। আমি আশা করি দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তাকে বাধাল ইউনিয়ন মানুষের পাশে দাড়ানোর সুযোগ করে দিবেন।