বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে পরিবেশ ঘাতী অবৈধ বালুর ড্রেজার মেশিন। বালু দস্যুরা বিপণনের উদ্যেশ্যে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। বসত ভিটা ও ফসলি জমি ভাঙ্গনের আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসি।গতকাল শনিবার সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের একরামখালী গ্রামে মাসুম মোল্লা নামের একজন বালু ব্যাবসায়ী ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছেন। পুটিখালী ইউনিয়নের মঙ্গলের হাট খাল থেকে মতিয়ার রহমান নামের এক বালু ব্যবসায়ী বালু উত্তোলন করে রাস্তার ঠিকাদারের কাছে বিক্রয় করছেন।
দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের লোকমান শেখ বলইবুনীয়া গ্রামে ফসলী জমিথেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছেন। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ফসরী জমি থেকে বালু উত্থোলন করে রাস্তার ঠিকাদারের কাছে বিক্রয় করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে বালুর ড্রেজার। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ বালু দস্যুরা ফসলি মাঠ , পুকুর ও খাল থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। অবৈধ বালুর ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে এসব জায়গায় গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে ভূমি ক্ষয় ও ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাঠের পর মাঠ বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক লোক এ অবৈধ বালির ড্রেজার চালিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে । বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বিপণনের উদ্যেশ্যে কোন উম্মুক্ত স্থান ,নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা যাবেনা। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পরিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষিত এলাকায় বালু উত্তোলন করা যাবেনা।
কিন্তু বালুর ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি মাঠ ,পুকুর,খাল ও নদী দিয়ে অবাধে অবৈধ বালি উত্তোলন করছে। আর এ সাথে জড়িত রয়েছে বড় ধরনের সিন্ডিকেট। উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের ড্রেজার মেশিন আটক, যন্ত্রাংশ ধ্বংস, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছে। তারপরও বালু দস্যুরা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এসব বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সহ নানা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সপ্রতি মঙ্গলের হাট নামক স্থান থেকে দুটি ড্রেজারের পাইপ কেটে দেয়া হয়েছে।