রেলপথ মন্ত্রী অ্যাড.নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন,বিএনপি-জামায়াতের সময় রেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো। ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে গোল্ডেন হেন্ডসেক দিয়ে রেল থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছিলো। এরপর নতুন কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। অপরদিকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের ব্যাপক উন্নয়ন বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয় হয়।
সোমবার(২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের উঁচু ও বর্ধিত প্লাটফরমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন,আগে চিটাগাং পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিলো। ছিলোনা কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেল যোগাযোগকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণে নতুন রেলপথ বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন,পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কারন বাংলাবান্ধা হচ্ছে একমাত্র স্থলবন্দর,যে বন্দরের সাথে চারটি দেশের যোগাযোগ রয়েছে। ভারত,বাংলাদেশ,নেপাল ও ভূটান। সেই কারনে ইতিমধ্যে চিলাহাটি থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু করা হয়েছে। রেলের এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে বহিরবিশে^র সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ হবে।
মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন,বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা পর্যন্ত রেল যোগযোগ ছিলো। মংলা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিলোনা। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ি মংলা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজও শুরু করা হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে(পশ্চিম)’এর মহা-ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহর সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,রেলপথ মন্ত্রাণালয়ের সচিব সেলিম রেজা,মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম,পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো,নব-নির্বাচিত পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো ।