দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও ৭১ টেলিভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সহকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তিনি গত ১৫ দিন যাবৎ শারীরিক সমস্যার নানা উপসর্গ নিয়ে তিনি চিকিৎসা গ্রহন করে আসছেন। তার প্রচন্ড মাথা ব্যথা, জ্বর, শ্বাস কস্ট, খাবারে অরুচী, নিদ্রাহীনতা, হাটতে গেলে শরীরে কাপুনী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।বিষ্ণ প্রসাদ চক্রবর্তীর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পূর্ণ করা হলেও কোন রোগ শনাক্ত না হওয়ায় একটি ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষ্ণ প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে করোনা টিকা নেওয়ার পর রাতে অসুস্থ্য বোধ করি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন এবং নানা পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়।কিন্তু শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি বরং প্রতিনিয়ত শারীরিক দূর্বলতা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. আরিফ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে আমার চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। খুমেকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সার্বিক ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সহকর্মী সাংবাদিক আলী আকবর টুটুল বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদর হাসপাতালের একই কক্ষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ অনেকেই পরপর টিকা গ্রহন করেছি। আমরা সবাই সুস্থ্য রয়েছি। কিন্তু ওই দিন রাতে বিষ্ণ প্রসাদ চক্রবর্তী অসুস্থ্য বোধ করছেন বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। আমিও বিভিন্ন চিকিৎসকদের সাথে কথা বলি। এরপর চিকিৎসকরা তার বাড়িতে যান, খোজ খবর নেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্টে তার শরীরে কোন প্রকার রোগ শনাক্ত হয়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এই অবস্থায় তিনি কেন সুস্থ্য হচ্ছেন না এই নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।আমরা তার সুস্থ্যতা কামনা করছি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ৭ তারিখে টিকা নেওয়ার পরদিন থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এর পর তার ব্লাড টেস্ট, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়েও শারীরিক অন্যকোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। পরবর্তীতে আমরা মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে তাকে চিকিৎসা দিয়েছি কিন্তু কোনো উন্নতি না দেখে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।সেখানেও কয়েকদফা পরীক্ষায় তার সুনির্দিষ্ট রোগ ধরা পড়েনি। তারপরও আমরা যেকোন শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।