বাগেরহাট সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কাজী আবু তাহেরের বসতঘরে আগুন লেগে বসত ঘর, ঘরে থাকা সকল মালামাল, দলিলপত্র ও গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর সর্বস্ব হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন নিঃস্ব হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভুক্তভোগী আবু তাহের বাগেরহাট সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত জব্বার কাজীর ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শারিরীক অসুস্থতার কারনে আবু তাহেরের স্ত্রী খালেদা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পূর্ব থেকে চিকিৎসাধীন ছিল। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাড়িতে কেউ না থাকায় গত ৩ মার্চ রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকায় বাড়ির বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লাগে। শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে ঘরসহ ঘরে থাকা টিভি,ফ্রিজ,মটর,আলমারি, সিলিন্ডার,সেলাই মেশিন,ফার্নিসার,ফ্যানসহ ঘরের সকল মালামাল পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। এ সময় আবু তাহের ও তার স্ত্রী খালেদা বেগমের ভোটার আইডি কার্ড ও তাদের জমি-জমার সকল কাগজ পত্র, ছেলে খালিদ হোসাইন ও মেয়ে তাকসিরা তুলির পাসপোর্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জরুরি সকল কাগজপত্র পুড়ে যায়।
ভুক্তভোগী আবু তাহের বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা হাসপাতালে ছিলাম। আগুন লাগার খবর শুনে দ্রæত বাড়িতে এস দেখি আগুনে আমার ঘরসহ ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে একটা পানি খাওয়ার গøাস ও নাই। কি করব কিভাবে বাচব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। তিনি তার ক্ষতিগ্রস্থ বসতবাড়ির ক্ষতিপূরনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের একান্ত সচিব এইচ,এম শাহিন, কাড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যন শেখ বশিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শেখ মুকিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাথমিক ৯ হাজার টাকার আর্থিক সহোযোগিতা করেন ও ঘর মেরামতের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস প্রদান করেন।
জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ
বাগেরহাটে চাচা-ভাইপোকে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা
আবু-হানিফ, বাগেরহাট অফিসঃ
বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদোখালী এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় শেখ রুহুল আমিন (৩৬) ও এনামুল শেখ (১৮) হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (০৬ মার্চ) বাগেরহাট মডেল থানায় গুরুত্বর আহত শেখ রুহুল আমিনের ভাই শেখ জাকির হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের বাদোখালী গ্রামের মাছের ঘেরের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বাদোখালী গ্রামের মৃত মনসুর শেখের ছেলে আবুল শেখের¡ নেতৃত্বে স্থানীয় ফিরোজ শেখ,শেখ আলাউদ্দিন,কামরুল শেখ,বাবু শেখ,একরাম শেখ,আরিফ শেখ সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসীরা শেখ রুহুল আমিন ও তার ভাইপো এনামুল শেখের উপর হামলা করে। শেখ রুহুল আমিন ও এনামুল শেখকে হত্যার উদ্দেশে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপাতি, লোহার রডসহ বিভিন্ন লাঠি সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দ্রæত হামলা কারিরা মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল সেট ও নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেখ রুহুল আমিন ও এনামুল শেখকে দ্রæত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার বেশি অবনতি হওয়ায় শেখ রুহুল আমিনকে বৃহস্পতিবার দুপুরেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মৎস্য ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে, সাধারন ও গুরুত্ব জখমসহ চুরি ও হুমকির অপরাধে মামলা দায়ের করেছে। দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।