ভোলার তজুমদ্দিনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাতভর চলা সংঘর্ষে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এর রেশ ধরে রোববার (২১ মার্চ) সকালেও চাচরা ইউনিয়নের মঙ্গল সিকদার উওর মাথা ও চাচরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চাচরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও চাচরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগও রয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের হেলমেট বাহিনীকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিতেও দেখা গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা ১০টি বসতঘর ও আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এতে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন হান্নান বলেন, ‘নৌকার সমর্থকরা মিছিল করে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। বাসা-বাড়িতে ভাঙচুর করে।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমর্থকরা জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নান গ্রুপের সমর্থকরা নৌকার মিছিলের উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’