আরমান ভাই, এলাকাতেই তো আছেন তাই না, কালকে তো হরতাল, একটা কিছু করা যাবে না’ – ঠিক এভাবেই নিজ দলের এক কর্মীকে হেফাজতের ডাকা হরতালে সহিংসতা সৃষ্টি করতে প্ররোচণা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়ের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার বিকেলে নিপুণকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দেশব্যাপি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের কার্যকারিতা ভালো না থাকলেও সেখাইনেই ভাইরাল হয়েছে নিপুণের দুটি অডিও ক্লিপ। যেখানে তাকে, আরমান নামে এক কর্মীকে যানবাহনে আগুন ধরানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
আরমান কেরানীগঞ্জের একজন বিএনপি নেতা। তাকে কল করে নিপুণ বাসে বা অন্য কোনো বাহনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। ঘটনার ভিডিও করে সেটি তাকে পাঠাতেও বলেন। ‘জায়গামতো’ ভিডিওটি পাঠাবেন বলেও ফোনে জানান নিপুণ।
র্যাব সদর দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার নিপুণ রায় চৌধুরী হেফাজতের হরতালে তার দলীয় ক্যাডারদের গাড়ি পোড়ানোর নির্দেশনা দেন। নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে বিকেলে তাকে আটক করা হয়েছে। এর আগে নিপুণ রায়ের নির্দেশনা পালনকারী কেরানীগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতা আরমান, খোরশেদ ও শাহীনকে আটক করে র্যাব।
দেশ পাঠকদের জন্য নিপুণ ও আরমানের দুটি ফোন কলের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রথম ফোন কল- যেটি নিপুণ করেছিলেন আরমানকে:
নিপুণ রায় : আরমান ভাই, এলাকাতেই তো আছেন তাই না? কালকে তো হরতাল, একটা কিছু করা যাবে না?
আরমান : কী করতে হবে বলেন।
নিপুণ রায় : ধরায় দেন।
আরমান : ওকে ঠিক আছে।
নিপুণ রায় : বাস হোক যেটায় হোক, একদম পুরা, ফুল ধরবে, ফুল ধরবে। একটু দূর থেকে ভিডিও ছবি আমারে পাঠাবেন, অবশ্যই অবশ্যই। ঠিক আছে? আমি কিন্তু জায়গামতো পাঠাবো। হ্যাঁ, ওইটা মাথায় রাখবেন। ঠিক আছে, আজকেই আজকেই।
আরমান : ওকে।
নিপুণ রায় : বের হন।
আরমান : ইনশাল্লাহ।
নিপুণ রায় : এটা আমি দেখতে চাই। একদম দাউদাউ।
ঘটনার পর আরাম ফোন করেন নিপুণকে:
আরমান : ভিডিও করতে পারিনি। ছবি পাঠিয়েছি। লীগের লোকজন ঘেরা। পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
নিপুণ রায় : ওকে, সরে দাঁড়ান।
আরমান : সরে গেছি গা।
নিপুণ রায় : হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান।
আরমান : হুম, হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠাইছি।