কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আগুনে পুড়ে গেছে মোটর পার্টসের দোকান ও বসতঘর।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সেনানিবাস সংলগ্ন নিশ্চিতপুর এলাকায় হাজী মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় ৯টি দোকান ও ৯টি বসতঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে আবদুল কাদেরের ‘ভাই ভাই মোটর্স’ নামে ছয়টি দোকান, শফিকুর রহমানের সুফিয়ান মোটর্সের একটি ও রাজিবের রাজিব হোন্ডা এ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারের দুইটি দোকান পুড়ে যায়।
এ সময় মার্কেটের আগুন পাশে থাকা ৯টি বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট ছোট এই ঘরগুলোতে বাস করতেন ফেরিওয়ালা ও দিন মজুর পেশার মানুষেরা।
আগুনে পুড়ে যায় সোহেলের ঘর। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা নগরীতে তরকারি ফেরি করে বিক্রি করি। রাতে হঠাৎ আগুন লাগলে কোনো রকম ঘর থেকে বের হই। চোখের সামনে ঘরটি পুড়তে দেখেছি। দুই ঘণ্টা ধরে আমার ঘরসহ পাশের আটটি ঘর পুড়ে যায়।’
ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই মোটর্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের বলেন, ‘রাইতের তিনটায় খবর পাইছি যে, দোহানো আগুন লাগছে। আগুনে পুইড়া সব শেষ। এর আগের মাসে পাশের মার্কেটে আগুন লাইগ্গা আমার আরেকটা দোহান পুড়ছে।’
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্ত করে আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত করে বের করা হবে।’
গত ১৪ মার্চ রাতে পাশের হাজি ম্যানশন মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৬৫টি মোটরসাইকেল ও মোটর পার্টসের দোকান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পাশের মার্কেটে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতবাক ব্যবসায়ীরা।