ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কৃষকের ধান ক্ষেতে সাদাশীষ হতাশায় পড়েছে কৃষকরা। ঝড় শিলা বৃষ্টি ও গরম বাতাসে বোরো ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের না পেয়ে ধানের সাদা শীষ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ ২৫০ হেক্টর জমি প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বললেও বাস্তবে ১১ ইউপি ও পৌর এলাকাসহ প্রায় ৫শ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০হাজার ২২৮ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলায় ঝড় শিলা বৃষ্টি ও গরম বাতাসে বি, আর ২৮, ২৬ ও ১১ জাতের ধানের শীষ সাদা হয়ে যায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সোনালি ধানের শীষ সাদা বর্ণ হয়েছে। কৃষকরা ধানের শীষ হাতে নিয়ে অসহায়ের মতো আহাজারী করেছেন। এসময় মগটুলা ইউপির দুবলী ও নারায়নপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, তাদের এলাকায় কৃষি বিভাগের কোন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুবলী ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব ২০১১ সাল থেকে ডেপুটেশনের ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে কর্মরত। ঈশ্বরগঞ্জ অফিস থেকে তিনি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। আহসান হাবিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। একই ইউপির বাঘবেড় এলাকার মোহাজ্জেম হোসেন নামের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ৩ মাস যাবৎ অসুস্থ্যতায় ছুটিতে রয়েছেন। ফলে এলাকার কৃষকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অপরদিকে জাটিয়া ইউপির নিজতুলন্দর ব্লকের কৃষক আ: ছামাদ, দুলাল মিয়া জানান, তাদের এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা: শিল্পী আক্তার গত ৬মাসের মধ্যে মাঠে যাননি। এবিষয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কৃষক সমিতিতে প্রতি সপ্তাহেই আসা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান,কোল্ড ইনজুরি জনিত কারণে ধান গাছের বের হওয়া শীষ সাদা হয়েছে। যে কারন কৃষকের বোর ধানের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।