করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যাপকভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ জন করে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা।হাসপাতালের বেডে জায়গা না থাকায় রোগীরা ঠাঁই নিয়েছেন হাসপাতালের মেঝে সহ আশপাশের বারান্দার মেঝেতে। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে আইভি স্যালাইনের চরম সংকট।
৫০ সয্যা বিশিষ্ট রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিদ গড়ে ৬০ থেকে ৮০ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছেন।যার কারনে বর্তমানে হাসপাতালের মেঝেতেও ও রোগী রাখার জায়গা নেই।কয়েকদিন যাবত ডায়রিয়ার তীব্র আকার ধারণ করেছে। ডায়রিয়ায় আত্রুান্ত হয়ে যারা আসছে তারা তীব্র পানিস্বল্পতা নিয়ে আসছে। তাদের সকলের শরীরে আইভি স্যালাইন লাগাতে হচ্ছে। এত পরিমানে আইভি স্যালাইন হাসপাতালের সরবরাহ নেই। ডায়রিয়ায় আত্রুান্ত হয়ে যারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছে তারা বেশীরভাগ গরিব ও নিন্ম আয়ের।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় আউভি স্যালাইন সংকটের বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই স্যালাইন সংকট সমস্যার সমাধান হবে।
ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ।এ থেকে রক্ষা পেতে বার বার হাত ধুতে হবে,টিউওবয়েলের পানি ব্যাবহার করতে হবে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো: আবুল খায়ের মাহমুদ জানান,কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।গত ২৪ ঘন্টায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬৫ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন।এর আগের দিন প্রায় ৮০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।৫০ সয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতেক দিন গড়ে ১০০ জনেরও বেশী রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।আমরা খাবার স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমানে দিতে পারতেছি।অতিরিক্ত রোগী হওয়ায় আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে আইভি স্যালাইন দিতে পারতেছি না।সরকারের যে দপ্তর থেকে আমাদের আইভি স্যালাইন পাওয়ার কথা সেখান থেকেও আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে পাচ্ছি না।এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্টাফদের বেতনের টাকায় কিনতে চাচ্ছি তাও ডিপু থেকে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে দিতে পারছেনা।