পরকিয়ার জেরেই খুন হতে হয় নার্স ননিকা রানী রায়কে। রেলওয়ে থানার জিআরপি পুলিশ নিতাইয়ের সাথে ননিকার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের দাবি করায় ননিকাকে খুন করে ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে সিটি বাইপাস এলাকার একটি ডোবায় ফেলে আসা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দেয়াতেই ননিকাকে খুন করে নিতাই। তাকে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ডেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ড্রামে ভরে করে ফেলে আসেন নিতাই। এতে সহযোগিতা করেন মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও দুজন। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল নিতাই চন্দ্র সরকার (৪৩)। তার বাড়ি পাবনার আতাইকুলা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। তার স্ত্রীও বগুড়ায় পুলিশে কর্মরত।
তার ৩ সহযোগী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং মাইক্রোবাসচালক নগরীর বিলশিমলা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫)।
রোববার (১৮ এপ্রিল) পিবিআই তাদের ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘রাজশাহী নগরীর সিটিহাট এলাকার একটি ডোবায় পড়ে থাকা ড্রামের ভেতর থেকে গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (১৮ এপ্রিল) নিহত ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত তরুণীর নাম ননিকা রানী রায় (২৪)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদরের মিলনপুরের নিপেন চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে ননিকা তার ডিপ্লোমা ডিগ্রি সমাপ্ত করে নার্সের চাকরি করতেন।’
নিহতের মোবাইলের সূত্র এবং ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত কনস্টেবল নিতাইকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে জিআরপি থানার সেকেন্ড অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, কনস্টেবল নিতাই চন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে জিআরপিতে দায়িত্বরত। নগরীর রাজপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়াবাসায় থাকতেন। রোববার দুপুরে পিবিআই থেকে ফোন আসে নিতাই চন্দ্রকে (ব্যাচ নং- ১৯৬) তারা আটক করেছেন। তবে কেন আটক করেছেন তা তারা জানাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিতাই গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ৫ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন অসুস্থতাজনিত কারণে। আগামী সোমবার (১৯ এপ্রিল) তার জয়েন করা কথা ছিল।’