চলতি বছরে জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বুধবার (২১ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়ত অনুসারে, নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা) মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের যেকোনো একটির নির্দিষ্ট পরিমাণ বা বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে দিতে পারবেন। আটার ক্ষেত্রে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) এবং খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা) মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়। যা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উন্নতমানের এক কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা গমের দাম ৭০ টাকা। তিন কেজি ৩০০ গ্রাম যবের দাম ২৮০ টাকা, কিশমিশের দাম এক হাজার ৩২০ টাকা, খেজুরের দাম এক হাজার ৬৫০ টাকা এবং পনিরের দাম দুই হাজার ৩১০ টাকা। ওই পরিমাণ পণ্য বা পণ্যের মূল্য হিসেবে ফিতরা আদায় করতে হবে। স্থানভেদে দামের তারতম্য হওয়ায় পণ্যের স্থানীয় বাজার মূল্য হিসেবে ফিতরা দিলেও আদায় হয়ে যাবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহূল আমীন, মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপপরিচালক মাওলানা আবদুল জলীলসহ দেশের বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।