কুমিল্লা থেকে বন্ধুদের সাথে বান্দরবান লামায় বেড়াতে এসে সেই বন্ধুদের হাতেই প্রাণ দিতে হল হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ নামক এক হতভাগা যুবকের।
২১এপ্রিল ২০২১ তারিখ রাত ০২ ঘটিকায় লামা উপজেলার ৬নং রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী স্থান শিংঝিরি নামক এলাকার গভীর জঙ্গল থেকে লামা থানা পুলিশের অভিযানে হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ (২৫) পিতাঃ মোবারক হোসেন সাং: বিশম্ভপুর, ৮নং ওয়ার্ড,ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন,থানা দেবিদ্বার, জেলাঃ কুমিল্লা নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা (৫০), পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ হাকিমুল্লাহ,সাংঃ শিংঝিরি, রুপসীপাড়া ইউপি এর মেয়ের জামাতা মোঃ ফয়েজ (৪০) পিতাঃ আব্দুল মালেক,সাংঃ খাড়াতাইয়া,ষোলনল ইউনিয়ন,বুড়িচং থানা (হাফেজ অলিউল্লাহ মামাতো ভাই) এবং তার বন্ধু মোঃ আরিফ (২৪) পিতাঃ মোঃ আব্দুল গনি, সাং বিশ্ম্ভপুর,থানা দেবিদ্বার,জেলা কুমিল্লা (হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহর খালাতো ভাই) এর সাথে গত ২২-ই মার্চ মোঃ ফয়েজ এর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
তারপর হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ পরিবারের কাছ থেকে মোঃ ফয়েজ ও মোঃ আরিফ ইমুতে পরিবারকে অপহরণের বিভিন্ন ছবি দিয়ে ১,০০,০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় গত ২৫-শে মার্চ হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ কে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে লামা রুপসীপাড়া ইউনিয়নের শিংঝিরি নামক স্থানের গভীর জঙ্গলে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহর বড় ভাই মোহাম্মদ শাহিন ২৬ মার্চ২১ইং তারিখে বুড়িচং থানায় একটি জিডি করেন এবং মোবাইল ট্রাক এর মাধ্যমে লামা থানায় অভিযোগ করলে লামা থানা অভিযান চালিয়ে তদন্তের মাধ্যমে মোঃ ফয়েজ ও মোঃ আরিফ কে গ্রেফতার করেন এবং অদ্য ২১ এপ্রিল ০২ঘটিকায় মৃত হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ কে পুঁতে রাখা মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেন।