ময়মনসিহ জেলার নান্দাইলে ও ঈশ্বরগঞ্জে চড়া-কেজি মূল্যে তরমুজ বিক্রায় ওতরমুজ ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ না থাকায় সাত ব্যবসায়ীকে নয়-হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ও নান্দাইল বাসষ্টেন্ড বাজার চৌরাস্তা বাজারে পৃথক, পৃথক অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই জরিমানা করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.জাকির হোসেন জানান,ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি স্থানে তরমুজের বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় দেখা যায় ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় এ সময় পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রি না করা ও ক্রয়ের মূল্য তালিকা দেখাতে না পারায় ২ব্যবসায়ীকে দুই হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সরকারি হাইওয়ে রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে এক ভবন মালিককে পাচ-হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে। এসময় ভবন মালিককে রাস্তার উপরে রাখা ইট, বালু, রড দ্রুত সরানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে নান্দাইল বাসস্ট্যান্ড বাজার ও চৌরাস্তা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় ও বিক্রয় মূল্যে অসঙ্গতির কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫ ব্যবসায়ীকে সাত-হাজার টাকা জরিমানা করেন
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ উদ্দিন।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ উদ্দিন জানান, বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগের প্রক্ষিতে ও অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করায় এবং তরমুজ ক্রয়ের ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষি বিপণন আইনে পাঁচটি মামলায় সাত হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। তিনি সকল তরমুজ ব্যাবসায়ীকে যথাযথ নিয়ম মেনে তরমুজ বিক্রয় করার আহবান জানান।