একমাত্র ছেলে সুমন কুমার দাশকে (৩৫) বাঁচাতে কিডনি দিতে চান মা রীতাদাশ। কিডনি প্রতিস্থাপন খরচ প্রায় ৭ লাখ টাকা। কোনোভাবেই এতটাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই দিনমুজুর পরিবারটির। ফলে নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চেয়েও ছেলেকে হারাতে বসেছেন মা।
সুমন কুমার দাশের (৩৫) দুটি কিডনিই অকেজো । সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের দিনমুজুর সন্তোষ দাশের একমাত্র ছেলে। দীর্ঘ ৭ বছর যাবত সে কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে মাসে একবার ডায়ালাইসিস করে বেঁচে আছে।বর্তমানে সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। খুলনার গাজী মেডিকেল থেকে সে ডায়ালাইসিস করান। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। দিনমুজুর বাবার পক্ষে সেই খরচ আর বহন করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।এতদিন এলাকার সকলের সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে ছেলের ডায়ালাইসিস করে এসেছেন।
কিন্তু এখন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া বিকল্প আর কোন পখ নেই সুমনের সুস্থ হওয়ার। যদি দ্রæত কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায় তাহলে সে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।
রীতা দাশ বলেন, আমার কিডনি দেওয়ার জন্য সকল পরীক্ষা সম্পর্ণ করেছি কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ যোগাতে না পারায় ছেলেটি আমার ধুকে ধুকে আজ মৃত্যু পথযাত্রী।
অসহায় এই মায়ের আকুতি, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে বাঁচান। এই রমজানে আপনাদের দানের টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্য করুন। আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় আমার ছেলে বেঁচে যাবে।
এ বিষয়ে নগরঘাটা ইউনিয়ন চেয়াম্যান কামরুজ্জামান লিপু জানান, সুমনকে তার মা কিডনি দেবেন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ জোগাতে পারছে না তার পরিবার। তাই সমাজের সকলকে সুমনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
সুমন দাশের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানো যাবে, বিকাশ নম্বর- ০১৭১৩৮৯৭৩৮৪।