এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে শাহিনের ভাই মানিক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের কাকনহাটি গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে শাহিন মিয়াকে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ ২এপ্রিল নিজ স্বর্ণের দোকান থেকে চোরাই স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অভিযোগে আটক করেন। পরে আটক শাহিন ডিবি পুলিশের কাছে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ের সাথে জড়িত পাশের দোকানের রমজানসহ অন্যান্যদের নাম উল্লেখ করে। শাহিন ও রমজানের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় এনিয়ে পারিবারিক ভাবে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রমজান তার পরিবারের লোকজন নিয়ে শাহিনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় শাহিনের ভাই মানিক ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, মানিক মিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য: উপজেলার বাজিবপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার বাড়িতে ও মাইজহাটি আকরাম হোসেনের বাড়িসহ আশপাশের ৭/৮টি বাড়িতে হলুদ মরিছের গুড়ার সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে লোকজনকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়। এসব ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ বড়হিত ইউনিয়নের কাঁঠাল গ্রামের সবুজ মিয়া ওরফে আইলসা ও রফিককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণালংকার ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে শাহিনের দোকানে বিক্রি করার কথা জানালে, শাহিনকে তার দোকান থেকে আটক করা হয়।