রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পাশে সেই পুকুরেই মিললো আরো দুটি মর্টাল শেল ও একটি রকেট লঞ্চার।
পুকুর খননকারীরা প্রতিদিনের মত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে এই মর্টাল শেল ও রকেট লঞ্চার দেখতে পান। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও দুটি মর্টার শেল ও রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে।
রাজশাহীর মতিহার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসাইন জানান, উদ্ধারকৃত মর্টারশেল ও রকেট লঞ্চার বদ্ধভূমি এলাকার পুলিশ বক্সের পাশে ঘিরে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, লঞ্চার ও মর্টারশেলটি যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার পাশেই পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এগুলো যুদ্ধের সময়কার বলে আমরা ধারণা করছি। সাপ্রতি হলের পূর্বপাশে পুকুর খননের কাজ শুরু হয়েছে। খনন করা পুকুর থেকে মর্টারশেল ও রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করা হয়। এরআগে, গত ২৭ এপ্রিল পাশবর্তী পুকুর থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয় দল মর্টারশেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো যুদ্ধের সময়কার।