ফেনীর সোনাগাজীতে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করার ১ বছর পর লাশ হয়ে ফিরলো সীমা। গত বছরের ১০ রমজান পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পাশের এলাকার আকাশের সাথে ঘর বেঁধে ছিলেন সীমা। আর এই বছরের ১৭ রমজান লাশ হয়ে গ্রামের বাড়ীতে লাশ হয়ে ফিরলো সে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে সীমার লাশ দাপন করা হয়।
সীমা সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁও গ্রামের ইটালী প্রবাসী ইব্রাহীমের মেয়ে। তার স্বামী বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকাশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে আকাশের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পালিয়ে বিয়ে করে জয়নাল হাজারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সীমা। এরপর থেকে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতো। বৃহস্পতিবার রাতে আকাশের মোবাইল থেকে সীমার বাবাকে ফোন করে জানানো হয় তার মেয়ে আত্মহত্যা করে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় মারা গেছে। খবর পেয়ে সীমার বাবা ইব্রাহীম ওই বাসায় গিয়ে জানতে পারেন ভাটরা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ প্রেরণ করেছে। পরে মর্গ থেকে লাশ এনে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে সমাধি করা হয়।
সীমার বাবা ইব্রাহীম জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঢাকার ভাটরা থানায় আকাশকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এদিকে স্থানীয় চরমজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হোসেন জানান, বেশ কয়েকবছর যাবত আকাশ নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক কনসালটেন্ট দাবী করে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকুরী দেয়ার নামে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় শালিসে কয়েকজনের টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।