November 24, 2024, 4:11 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

আমার আর কেউ রইলো না- মিম

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : সোমবার, মে ৩, ২০২১
  • 332 দেখুন

খুলনায় দাদীর মৃত্যুর খবরে বাবা-মা ও দুই বোনের সঙ্গে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শিশু মিম। তবে দাদীর লাশ দেখার আগেই পরিবারের সব সদস্যকে হারাতে হলো তাকে। সে বাদে তার সঙ্গে থাকা সবাই দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এবার তাই বাবা-মা ও দুই বোনকে নিয়ে বরং তাদের লাশ সঙ্গে নিয়ে দাদীর লাশ দেখতে যেতে হচ্ছে তাকে।

সোমবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পদ্মা নদীতে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে আছে মিমের বাবা-মা ও দুই বোনের লাশও।

দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি শিশু মিমকে জিজ্ঞাসা করলে বাবা মা ও দুই বোনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরে সে। শিবচর ইউএনও অফিসের এক কর্মচারী ও বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের নৈশ প্রহরী দেলোয়ার ফকিরের তত্বাবধানে শিশুটি হাসপাতালের একটি কক্ষে দুপুরের খাবার খাচ্ছিল তখন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিশু মিমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ রাখা হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে। খুলনার তেরখাদায় এ পরিবারের বাড়ি। সেখানেই যাচ্ছিলেন তারা।

মিমকে উদ্ধারকারী নৌ পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী বলেন, ‘শিশুটিকে নদীতে ব্যাগ ধরে ভাসতে দেখি। হাত ও চোখের কাছে আঘাতের চিহ্ন ছিল সামান্য। দ্রুত তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির পরিবারের সকল সদস্যরাই মারা গেছে।’

শিশু মিম শুধু জানে তার মা, বাবা, বোনেরা কেউ বেঁচে নেই। মাঝে মাঝেই মা মা বলে কেঁদে উঠছে সে। কান্নারত অবস্থায় মিম বলে, ‘আমরা দাদু বাড়ি যাচ্ছিলাম। দাদী মারা গেছে। তাকে দেখতে। আমার আর কেউ নাই।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102