বিয়ের পর থেকে লম্পট যুবকের নজর পড়ে শ্যালিকার দিকে। আর সে কারনে তাকে ফুসলিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের উত্তর কাজিরচর গ্রামে এক যুবক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ৪ দিনের মাথায় কিশোরী শ্যালিকাকে (১৫) বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই স্কুলছাত্রী শ্যালিকা ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মামলা থেকে রক্ষা পেতে তিনি তাকে বিয়ে করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্তকে সমাজচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার উপজেলার মৃত খলিল হাওলাদারে ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮ মাস আগে জুয়েল হাওলাদার পার্শ্ববর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এরমধ্যে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী শ্যালিকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর থেকে তিনি বিভিন্ন সময় শ্যালিকাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যান। আর প্রায় সময় আবাসিক হোটেলে তারা রাত কাটান। এই বিষয়টি স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা টের পেলে কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার শ্যালিকাকে নিয়ে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
পরে প্যাদারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। এক সঙ্গে থাকার কারণে শ্যালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ সময় শ্যালিকা তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আর বিয়ে না করলে জুয়েলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার হুমকিও দেয়। মামলা থেকে রক্ষা পেতে কাজিরচর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী নূর শরীফের কাছে জুয়েল হাওলাদার গত ২৫ এপ্রিল স্ত্রীকে খোলা তালাক দেন। এর কয়েক দিন পর ২৯ এপ্রিল শ্যালিকাকে বিয়ে করেন।
জুয়েলের স্ত্রী জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর জানতে পারেন তার স্বামীর ভালো মানুষ না। তাকে বিয়ের আগেও জুয়েলের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় জুয়েলকে কিছু বলেননি।
কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে নারী উত্ত্যক্তের বেশ কয়েকটি অভিযোগের কথাও শুনেছি। সম্প্রতি জানতে পেরেছি জুয়েল স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। তবে জুয়েল যাকে বিয়ে করেছে সে নাবালিকা কিশোরী। আইন অনুযায়ী ওই কিশোরীর বিয়ের বয়স হয়নি। পাশাপাশি খোলা তালাক রেজিস্ট্রি করার ৪ দিনের মাথায় নাবালিকা কিশোরীর বিবাহ রেজিস্ট্রি করা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছ জানতে চাওয়া হবে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, কাজিরচর ইউনিয়নের উত্তর কাজিরচর গ্রামের এক যুবক নাবালিকা এক কিশোরীকে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।